অবশেষে বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়েছে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি। বর্তমানে নদীটির পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সোয়া ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মো. ওয়ালিউজ্জামান।
এদিকে গোমতির পাড় ভাঙ্গায় ৭ম দিনেও পানি বের হয়ে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিস্তীর্ণএলাকায় প্রবেশ করছে। এতে করে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
তবে জেলার বুড়িচং উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এছাড়াদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দূর্গতদের জন্য সামগ্রী এসেছে। কিন্তু পরিবহনের সংকটের কাঙ্খিত এলাকায় তা পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে ।
এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলা যেমন লাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়া সহ বেশ কটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী আছে। ৭ শ ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ২২৫টি মেডিকেল টিম এদের চিকিৎসা দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকে ৩৩ লাখ নগদ টাকা ও ৬০০ মেট্টিকটন খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেদা আক্তার জানান, বুড়িচংয়ে পানি কমতে শুরু করেছে। এখন প্রয়োজন চাল ডালসহ ঔষধ।